আস্থার প্রতিদানে বড় হচ্ছে রাজধানীর ‘কৃষক বাজার’

আস্থার প্রতিদানে বড় হচ্ছে রাজধানীর ‘কৃষক বাজার’

আস্থার প্রতিদান দেওয়ায় দিন দিন ক্রেতা বাড়ছে প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ৭টা থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বসা কৃষক বাজারে। শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে জমে ওঠে বেচাকেনা। গুণগতমান আর সতেজতা, এই বিবেচনায় দাম তুলনামূলক কম বলে মনে করেন বাজারে আসা ক্রেতারা। 

গত বছর ৬ ডিসেম্বর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সেচ ভবন প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা হয় এ বাজারের। বর্তমানে বাজারটিতে প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ টাকার খাদ্যপণ্য বিক্রি করেন কৃষক ও উদ্যোক্তারা। 

এই বাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, কেউ ইচ্ছা করলেই এখানে সবজি বা তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারেন না। দীর্ঘদিন স্থানীয় কৃষি বিভাগের নজরদারিতে থাকতে হয় তাদের। কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে উৎপাদন প্রক্রিয়া শেষ করতে হয় এবং বাজারে নিয়ে আসার আগে আবারও তাৎক্ষণিক কৃষি বিভাগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা উতরে ‘নিরাপদ’ অর্থাৎ রাসায়নিকমুক্ত সনদ নিয়ে বাজারে ঢুকতে হয়। এতেই অর্গানিক নিত্যপণ্যের বাজার হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছে রাজধানীর এই কৃষকের বাজার। মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও নরসিংদীসহ ঢাকার আশপাশের মোট আটটি উপজেলার সার্টিফায়েড (চিহ্নিত) কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি নিয়ে আসেন এ বাজারে।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে দেখা যায়, শীতের সবজিতে ভরা বাজার। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। নতুন আলু ৬০ টাকা কেজি, টমেটোর কেজি ৮০-১০০ টাকা, এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। শিম, বেগুন ৩০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজের কলি।

ক্রেতারা জানান, দাম কমের মধ্যেই ভালো জিনিস কিনতে পারেন তারা। তাদের পর্যবেক্ষণ, প্রথম দিকের তুলনায় ক্রেতা বাড়ছে। কারণ, বাজারটিতে সত্যিকার অর্থেই কীটনাশকমুক্ত পণ্য পাওয়া যায়।  

শীতকালীন সবজির পাশাপাশি বিদেশি সবজিও বেশ চোখে পড়ার মতো। লেটুসপাতা, ক্যাপসিকাম, মিষ্টি মরিচ, বাঁধাকপি, লাল মুলাসহ নানা প্রজাতির বিদেশি সবজি উঠে বাজারে। পাওয়া যায়, পাহাড়ি জমিতে চাষ করা লাল কলা, আলু, লাউ ও বিন্নি চাল। লাল কলা ২৪০ টাকা ডজনে আর পাহাড়ি আলু ৭০ টাকা কেজি দরে ও বিন্নি চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকায়। 

বিক্রেতা উদ্যোক্তারা জানান, এই বাজারে বেশ ভালো দাম পান তারা। একজন কৃষক বা একটি ফার্ম প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ২৫ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করে থাকে এই ভোক্তার আস্থা ধরে রাখা এই বাজারে। 

অনেক উদ্যোক্তা নিয়ে আসেন ঘি, আচার, গুড়, মধুসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবারও।

আপনি আরও পড়তে পারেন